বন্দর প্রতিনিধি: ঢাকা সারুলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকে অপহরণের পর মুক্তিপন আদায় করে মেয়ে লেলিয়ে দিয়ে ব্লাকমিলিং করার সময় স্থানীয় জনতা অপহরনকারী দলের মূলহোতা কাজী মাসুদ (৩৮)কে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় বন্দর উপজেলার চর-ঘারমোড়াস্থ আজিজ মিয়ার বাড়ি থেকে মাদ্রাসা শিক্ষককে উদ্ধারসহ অপহরনকারীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। অপহৃত মাদ্রাসা শিক্ষক সাইদুর রহমান (২৩) সুদূর সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার করগাও এলাকার আনফর আলী মিয়ার ছেলে। আটককৃত অপহরণকারী কাজী মাসুদ বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষক বাদী হয়ে অপহরণকারি কাজী মাসুদসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ১৩(১২)২৪ ধারা- ৩৬৫/ ৩৮৫/ ৩৮৬/ ৩২৩/ ৫০৬ দঃবিঃ। গ্রেপ্তারকৃতকে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছ।
অপহৃত মাদ্রাসা শিক্ষক সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, গত রোববার বিকেলে আমি বন্দর উপজেলার মদনপুর ফুফাত ভাই জুয়েলের সাথে দেখা করে আমার কর্মস্থল ডেমরা থানার সারুলিয়া পশ্চিম বক্সনগর তারতিলুল কোরআন মাদ্রাসা যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠি। সিএনজি গাড়ীটি কিছু দূর যাওয়ার পর গাড়ীতে থাকা অপহরনকারীরা আমাকে ২টি ধারালো অস্ত্র গলায় ঠেকিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক এখানে আনে। পরে ৪ ঘন্টা আমাকে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করে আমার সাথে থাকা ১টি মোবাইল ফোন, নগদ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আপহরণকারিরা মুক্তিপন হিসেবে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে আমি জীবন রক্ষার্থে মাদ্রাসার শিক্ষক, আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু
বান্ধদের কাছ থেকে আমার নাম্বারসহ অপহরনকারীদের বিভিন্ন নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে আরো ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপন আদায় করাসহ মেয়ে দিয়ে ভিডিও করে ব্লাকমিলিং করে। পরে আমার চিৎকারের শব্দ পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধারসহ অপহরনকারী চক্রের হোতা কাজী মাসুদকে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ তরিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।