নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাজধানীর হত্যা মামলায় না’গঞ্জ আ’লীগ ও জাপার ৫ নেতা আসামী হলেও বন্দরে জাপার দুই ডজন প্রভাবশালী নেতা স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। বন্দর – সদর থানা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ -৫ আসন। আর বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে এ আসনে জাতীয় পার্টির সাংসদ ছিলেন। স্বৈরাচারী সরকারের কাঁধে বর করে বন্দরের প্রায় ২/৩ ডজন নেতা আছে যারা টাকার কুমির হয়েছে। নামে বেনামে সম্পত্তির হিসেব কষলে হতভম্ব হয়ে উঠবে সচেতন মহল এমনই ভাষ্য সাধারণ মানুষের। বন্দর শহর ৯ টি ওর্য়াড ও উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতারা এখনো বেশ দাপটে অবস্থান করছে।
কৌশলে চলছে বিএনপির নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক।
কথিত আছে বন্দরের জাতীয় পার্টির অনেক নেতা বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপির সাথে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পূর্বের অপর্কম, বর্তমানে মামলা হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য। সেই জাতীয় পার্টির নেতারাই বন্দরে বেশ আলোচনায়। অনেকের প্রশ্ন বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে যে জাপার নেতারা আঙুল ফুলে জিরো হতে আর্থিকভাবে হিরো কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নামে বেনামে রয়েছ অঢেল সম্পত্তি। তাদের বিরুদ্ধে দুদকসহ প্রশাসনিক কঠোর অবস্থানে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী সচেতন মহলের।
উল্লেখ্য যে, ছাত্র-জনতার গণঅভূত্থানে রাজধানীর উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. আলী হুসেন নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পাঁচ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, বন্দরের যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, একই থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দীন।
এ ছাড়াও এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৮৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিহতের আত্মিয় মো: মফিজুল ইসলাম সানা ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট (উত্তরা পূর্ব) আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই, আসামীরা প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত থেকে, আর্থিক সহযোগিতা, নির্দেশনা ও পরিকল্পনা দ্বারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে আজমপুর মোড়ের পাকা রাস্তার উপস্থিত থেকে আাসামি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের নির্দেশনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যসরা ও উল্লেখিত আসামীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটনের উত্তরা-পূর্ব থানাধীন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে আজমপুর মোড়ের পাকা রাস্তার উপস্থিত হয়ে অবস্থান নেয়।
এরপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যসরা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকারী সাধারন ছাত্র জনতা এর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এর এক পর্যায়ে তারা ছাত্র জনতার উপর অর্তকিত গুলি হামলা চালায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অবস্থানরত মো: আলী হুসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তাহার পেট বুক ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে এবং সে মহাসড়কের উপরে পড়ে থাকে।
এমতাবাস্থায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরবর্তী কোন এক সময় সঙ্গীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারন ছাত্র জনতা মধ্য থেকে স্বাক্ষীগন সহ কয়েকজন ছাত্র জনতা এসে মো: আলী হুসেনকে হাত পা ধরে তুলে নিয়ে নিকটবর্তী কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল এ নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার মো:আলী হুসেনকে মৃত ঘোষণা করে।