বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে সংখ্যালঘু জয়ন্ত বিশ্বাস (৩৪) নামে এক যুবকের গোপনাঙ্গ কর্তনসহ ৩ সহোদর জখমের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে আহতের ছোট ভাই শান্ত বিশ্বাস বাদী হয়ে হামলাকারি সিফাত উল্লাহ, হোসাইন, হালিম, হাসিবুল্লাহসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ২৪(১১)২৪ ধারা- ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দর উপজেলার বেঁজেরগাও এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। তবে এ ঘটনায় হামলাকারিদেরকে গ্রেপ্তার করার সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার বেঁজেরগাও এলাকার জ্যোতিময় বিশ্বাসের ছেলে শান্ত বিশ্বাসদের সাথে একই এলাকার জাকারিয়া মিয়ার ২ ছেলে সিফাত উল্লাহ ও হোসাইনদের দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ি জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ জাকারিয়া মিয়ার ২ ছেলে সিফাত উল্লাহ ও হোসাইনসহ তাদের সহযোগিরা বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ হুমকি দামকি দিয়ে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সিফাত উল্লাহ ও তার ছোট ভাই হোসাইন একই এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে হালিম একই এলাকার মৃত আসন আলী সরকারের ছেলে হাসিবুল্লাহ ও তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম, সুজন মিয়ার স্ত্রী ছনিয়া বেগম ও হালিম মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহারসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শান্ত বিশ্বাসের বসত বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। ওই সময় জয়ন্ত বিশ্বাস গালাগালি করতে নিষেধ করিলে ওই সময় সন্ত্রাসী সিফাত উল্লাহ জয়ন্ত বিশ্বাসকে হত্যার উদ্দেশ্য বেদম ভাবে পিটিয়ে তার গোপনাঙ্গ কর্তন করে। ওই সময় তার চিৎকারের শব্দ পেয়ে চাচাত ভাই সজল বিশ্বাস (২৮) ও হৃদয় বিশ্বাস (২৬) এগিয়ে আসলে ওই সময় বাকি আসামীরা তাদেরকে বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।
নিউজটি জনস্বার্থে শেয়ার করুন