আফছার,চট্টগ্রাম: জরায়ুমুখী ক্যান্সার প্রতিরোধে চট্টগ্রামে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া টিকাদান কর্মসূচি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই বড় আকারে পরিচালিত হবে। চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ২৯ হাজার ২৮৯ জন কিশোরী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ হাজার ২১৯ জন কিশোরী এই টিকা পাবেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই কর্মসূচির আওতায় ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী, পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির কিশোরীরা টিকা পাবে। এ কার্যক্রম ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৮ দিনব্যাপী চলবে, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।
সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, জরায়ুমুখী ক্যান্সার নারীদের একটি বড় সমস্যা এবং এটি প্রতিরোধের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জরায়ুমুখী ক্যান্সার প্রতিরোধী এই টিকাদান কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যদি কোনো কিশোরী টিকা নেওয়ার পর অসুস্থবোধ করে, তার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য মেডিক্যাল টিম সবসময় প্রস্তুত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো ভয় থাকা উচিত নয়, কারণ এই টিকা কার্যকর ও নিরাপদ। টিকাদান প্রক্রিয়া সফল করতে প্রশাসন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা একসঙ্গে কাজ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএইচ নাওশাদ খান, ডা. এফএম জাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার নারীদের মধ্যে জরায়ুমুখী ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি বড় ধরনের অগ্রগতি সাধনের আশা করছে, যা ভবিষ্যতে নারীর স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়তা করবে।