বন্দর প্রতিনিধি: সোনারগাঁওয়ে জামাতা ঋণের পাওনা টাকা ফেরত না দিতে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে শ্বাশুড়ি ফাতেমা বেগম হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সোনারগাঁও পৌরসভা পরান টিপরদী এলাকার মৃত কাজী আবুল কাশেমের ছেলে নিহতের জামাতা রাসেদুল ইসলাম নান্টু(৪০), নান্টুর বড় দুই ভাই আব্দুল্লাহ(৫০) মাসুম(৪৫) ও বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের মৃত ছাবেদ খন্দকারের তিন ছেলে মাসুদ রানা (৫০) জাহেদ খন্দকার (৩৯), সাইদ (৪০)। জাহেদ খন্দকার ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বলে জানাগেছে। নিহত শ্বাশুড়ি বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউপির দশদোনা গ্রামের করিম মিয়ার স্ত্রী। ঘাতক জামাতা নান্টু সোনারগাঁও পৌরসভা পুরান টিপরদী এলাকার মৃত কাজী আবুল কাশেমের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, পূর্বের দারদেনা ও কিস্তি পরিশোধ জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ে জামাতা শ্বাশুড়ির মধ্যে পারিবারিক ভাবে দ্বন্দ্ব চলছিল। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে গত শনিবার সকালে বকেয়া কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা বলে শ্বাশুড়ি ফাতেমাকে ফোন করে সোনারগাঁও নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর থেকে শ্বাশুড়ি নিখোঁজ। এঘটনায় নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার রাতে বন্দর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। নিখোঁজের পরদিন রোববার সকালে সোনারগাঁও উপজেলার বস্তল এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের ডালে বোরকা পরিহত গামছা দিয়ে মূখ বাঁধা অবস্থায় ফাতেমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। মামলার প্রধান আসামি নান্টু পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসামি বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহেদ খন্দকার আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জন মামলার এজাহারভুক্ত সকল আসামিরা একেঅপরের যোগসাজশে ফাতেমা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ আব্দুল বারী বলেন, বন্দরের ফাতেমা বেগম হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৬জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।