প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বিকেএমইএ’র সভাপতি ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ হাতেমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে সংগঠনটির নব-নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
শনিবার ১৪ ডিসে¤বর ফতুল্লার বিসিকের এমবি নীট ফ্যাশান লিমিটেডে এই সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধান উপদেষ্টাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এদিকে, সাক্ষাতকালে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা পর্বে মোহাম্মদ হাতেম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অপসাংবাদিকতা পরিহার করার আহবান জানান। বিশেষ করে, গত কয়েক দিন যাবৎ তাকে নিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় নগ্ন ভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সাংবাদিকতার মধ্যে অনেকেই নোংড়ামি করে। তবে এই নোংড়ামির একটা সীমা থাকা উচিৎ। এমন ন্যাক্কারজনক ভাবে যে নোংড়ামি করা হয়, সেটা আমার জানা ছিলো না। আমি বুঝতে পারিনি যে, মোরছালীন বাবলা এত নীচে নামতে পারে। আমার বাসায় সে গিয়েছিল এবং ৫টি গার্মেন্টসের ঝুট চেয়েছিল। আমি তা দেইনি। কারণ তিনি যাকে নিয়ে গিয়েছিল, তার নাম হলো রকমত (ঝুট সন্ত্রাসী কাইল্লা রকমত)। বিগত সরকারের আমলে যেভাবে সে মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, বিভিন্ন ফ্যাক্টরী থেকে জোরপূর্বক ঝুট নামিয়ে নিয়েছে, মালিকদের জিম্মি করেছে, সেই ব্যক্তি এই আমলে এসেও ঝুট নিবে, সেটা কেউ মেনে নিবে না। আমি বাবলাকে বলেছি যে, এতে আমিও বিতর্কিত হবো, আপনিও বিতর্কিত হবেন। আমি তাকে ঝুট দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছি। তো অপারগতা প্রকাশ করলে এই ভাবে মানুষ ল্যাংটা হয়ে যায়, এটা আমি বুঝতে পারিনি। মানুষ যে এত নীচে নামতে পারে, মানুষের মন মানসিকতা ও চরিত্র যে এত খারাপ, এটা আমার জানা ছিলো না।’
হাতেম আরও বলেন, ‘ঝুট না পেয়ে আমাকে নিয়ে এমন মিথ্যাচার চালিয়ে গেলেও আমি এগুলো কানে নেই না। কারণ আমি কে বা কী, এটা আমার সেক্টরের লোকজন যেমন জানে, নারায়ণগঞ্জের মানুষজন জানে এবং বিগত সরকার, বর্তমান সরকার ও ভবিষ্যৎ সরকার, যেই আসুক না কেন, তারা কিন্তু আমার বিষয়ে জানে। দেশের সকল ব্যবসায়ী সমাজ আমাকে চিনে। বাংলাদেশের নীটওয়্যার সেক্টরের বিকেএমইএ’র জন্মটা অনেকটা আমার হাতে। বিকেএমইএতে আমার সদস্য পদ ১ নম্বরে। আমার পরিবারের আরও তিনজন সদস্য বিকেএমইএ’র সদস্য। বিকেএমইএর জন্ম থেকে আমি এর কনিষ্ঠতম পরিচালক। এই সেক্টরের জন্ম থেকে যেভাবে আমি এগিয়ে নিয়েছি, তাতে সকল ব্যবসায়ীরা আমার বিষয়ে জানে। তো এই ধরনের ব্যক্তি আক্রোশপূর্ন সংবাদ নিয়ে আমার মাথা ঘামানোর কিছু নেই। আমার বিরুদ্ধে এগুলো লিখে কিছু করতে পারবে বলে আমি মনে করি না। কারণ মানুষকে সম্মান দেয়ার মালিক হচ্ছে আল্লাহ। মানুষের কর্মের দ্বারাই সেটা নির্ধারণ হয়। আমি মনে করি, যারা এই ধরনের অপসাংবাদিকতা করে, তাদের বিরুদ্ধে ভালো সাংবাদিকদের রুখে দাঁড়ানো উচিৎ। যাতে করে মানুষ সাংবাদিক সমাজকে দোষারোপ করতে না পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি মোঃ এনামুল হক সিদ্দিকী, সহ সভাপতি আমির হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোঃ সহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাসান উল রাজিব, সাংগঠনিক স¤পাদক বিশাল আহমেদ, অর্থ স¤পাদক মোঃ কাইয়ুম খান, প্রচার সম্পাদক মোঃ শহিদ হোসেন, নির্বাহী সদস্য-১ মাহমুদ হাসান কচি ও নির্বাহী সদস্য-৩ মোক্তার হোসেন।