নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডস্থ চরধলেশ্বরী নদীঘেষা এলাকায় বিএনপির একটি প্রভাবশালী চক্র মসজিদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধভাবে নদীর পাড়ে মাটি কেটে প্লট করে বিক্রির পায়তারা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত রবিবার সকালে কলাগাছয়া ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড চরধলেস্বরী ব্রম্মপু্র নদঘেষে খাসজমিতে এমন চিত্র পরিলক্ষিত হয়।
খবর পেয়ে বন্দর উপজেলা প্রশাসন গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে অভিযান চালিয়ে ওই অবৈধ ড্রেজারের কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় অবৈধভাবে মাটি কাটা চক্রটি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,বিগত ৫আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গনঅভ্যুথ্যানে বিগত সরকারের পতন হওয়ার পর বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিনের নির্দেশে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে বিএনপি নেতা ও সাবেক মেম্বার মফিজুল ইসলাম এবং শুভকরদী মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেমসহ কয়েকজন বিএনপি নেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। বিভিন্ন স্থানে চাদাবাজী,বাজার দখল,জমিদখলসহ ড্রেজার দস্যুতা শুরু করে। সম্প্রতি কলাগাছিয়া ইউনিয়ন চরধলেশ্বরী নদীঘেষা এলাকায় খাস জমিতে মসজিদ নির্মানের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার পাইপ সংযুক্ত করে বালু ও মাটি কেটে প্লট করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে চক্রটির বিরোদ্ধে। স্থানীয়রা জানান,বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই বিএনপির পাতি নেতারা নির্যাতন,জুলুম ও জবর দখল করছে যা খুবই নিন্দনীয় ব্যাপার। এতদিন বন্ধ ছিল নদীখেকুদের জুলুম। সরকার পতনের পর পর শুরু হয়েছে অবৈধভাবে নদী কেটে খাসজমি ভরাট করে বিক্রির মহোৎসব। এসব দস্যুদের কারনে দিন দিন নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করা হচ্ছে। এখনই স্থানীয় প্রশাসন এসব দস্যুদের বিরোদ্ধে অভিযান পরিচালনা পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি।
গত রবিবার সকালে কয়েকজন গনমধ্যমকর্মী খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এলাকায় পরিবেশ বিনষ্ট করে প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্বিচারে নদী কাটার দৃশ্য অবলোকন করেন । কলাগাছিয়া চরধলেশ্বরী এলাকায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা মফিজুল মেম্বারের উপস্থিতিতে গায়ের জোর খাঁটিয়ে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন নদীর মাটি কেটে ও ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করে খাসজমি ভরাট করে প্লট করে বিক্রির পায়তারা করছে। এসব অভিযোগের তথ্য প্রমান সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা হাজী নুরুদ্দিনের নির্দেশে কলাগাছিয়া বিএনপি নেতা ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মফিল ইসলামের নেতৃত্বে নদী থেকে মাটি কেটে খাসজমি প্লট ভরাট করা হচ্ছে। পরে স্থানীয় কয়েকজন উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে এসে অবৈধ ড্রেজারের কাজ বন্ধ করে দেন। এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ ড্রেজার তদারকিতে থাকা বিএনপির সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এলাকার নিরিহ জনসাধারণের মধ্যে এনিয়ে দেখা দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী নদীর মাটি কাটা একটি মারাত্মক শাস্তিমূলক অপরাধ। এছাড়া রয়েছে থানা প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে চলছে এসব অবৈধ কাজ। এত বাঁধা উপেক্ষা করে মফিজুল মেম্বার ও আবুল কাশেম চক্র কিভাবে সাহস পায় অবৈধভাবে প্রকাশ্যে নদীর মাটি কেটে বালু ভরাট করার। এদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,এসব বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন না ধরায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।