ফতুল্লা সংবাদদাতাঃ বিএনপির সাথে আমাদের কোন পার্থক্য নেই উল্লেখ করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেছেন, বিএনপির সাথে আমাদের কোন পার্থক্য নেই। বিএনপির প্রত্যেকটি সদস্যর জায়গা আমার মনের গহীনে। আমিও নিজেকে বিএনপির প্রত্যেক নেতাকর্মীর কাছে প্রিয় পাত্র করতে চাই। বিএনপির সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক। আমার ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। কেউ ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেবেন সেই সুযোগ নেই। বিএনপির সাথে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কোন দ্বন্দ্ব নেই। যারা অন্য দল করেছেন, হোক সেটা ইসলামী বা অনৈসলামিক দল, তাদের প্রত্যেকের সাথেই আমাদের সখ্যতা গড়ে তুলতে হবে। যেনো সবাই মিলে সৎ ব্যক্তিকে নেতৃত্বে আনতে পারি।
গতকাল সন্ধ্যায় মুসলিমনগর পুরান বাজারে এনায়েতনগর ইউনিয়ন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কার্যালয় উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। সমাজ সেবক মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওঃ কামাল উদ্দিন দায়েমী, ফতুল্লা থানা সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম, জেলা জমিয়তের যুগ্ম সম্পাদক হাজী জসিম আলী।
মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী আরো বলেন, গত ৫৪ বছরে মানুষের পিঠ দেয়ালে লেগে ভেঙ্গে গেছে। এখন পিঠের পেছনে দেয়াল নেই। যদি সৎ মানুষ নেতৃত্বে আসতে পারে তাহলে আগামি ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এদেশ মালয়শিয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে। সেই সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। এখন ভেদাভেদের সময় নয়। আমরা চাই যে দলেরই আসুক, যেনো ভালো মানুষ নেতৃত্বে আসে। ভালো মানুষকে আমরা সবাই সামনে ঠেলে দেবো।
তিনি বলেন, সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বৈরাচার সরকার বিদায় হয়েছে। এ কৃতিত্ব শুধু ছাত্র, শিক্ষক বা পুরুষের নয়। এ কৃতিত্ব দেশের সকল শ্রেণির মানুষের। স্বৈরাচার সরকার বিদায়ের পরও তাদের কিছু দোসর এখনও রয়ে গেছে। তারা আমাদের সাথেই মিলেমিশে আছে। আমরা তাদের দেখেও না দেখার ভান করবো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। দুই বছর পর হলেও তারা নির্বাচন দেবে। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। তার আগে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভালো মানুষকে নেতৃত্বে আনতে কাজ করবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোশারফ হোসেন, হাজী তৈয়ব তাহের, আলী সরদার, লোকমান হোসেন, মোঃ আলী, আনোয়ার, রানা, আলামিন, হাবিবুর, হাসিবুল, আরফিন, রুহুল আমিন, নাছির, মাসুম, মামুন, দেলোয়ার।