বন্দর প্রতিনিধি : বন্দরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের দায়িত্ব অবহেলা অপরদিকে গ্যারেজ মালিকের অমানুষিক নির্যাতনের কারনে নাইটগার্ড সিরাজুল ইসলাম(৬৫) মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী । এ ঘটনায়
র্যাব-১১ গত সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে বন্দর থানার হড়িবাড়ি জহরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাইটগার্ড সিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্যারেজ মালিক আক্তার হোসেন(৫০)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী আক্তারকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে উল্লেখিত এলাকায় ওই অটো চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল।গ্রেপ্তারকৃত গ্যারেজ মালিক আক্তার বন্দর উপজেলার মুছাপুর হড়িবাড়ি জহরপুর এলাকার আলী আকবর মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে গ্যারেজ মালিক আক্তার ও তার লোকজন নাইটগার্ড সিরাজুল ইসলামের উপর অমানবিক নির্যাতন চালালে শনিবার রাতে মৃত্যু হলে রোববার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে শিল্প আক্তার বাদী হয়ে গ্যারেজ মালিক আক্তার হোসেনকে প্রধান আসামি করে আরো ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সূত্র মতে, উপজেলা মুছাপুর ইউপির হড়িবাড়ি জহরপুর এলাকার আক্তার হোসেনের মালিকানাধীন অটোরিকশা গ্যারেজে নাইটগার্ড হিসাবে গত দুই মাস যাবত কাজ করতেন পাশ্ববর্তী মুছাপুর গ্রামের বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার রাতে
সংঘবদ্ধ একটি চোরের দল কৌশলে প্রবেশ করে নাইটগার্ড সিরাজুলকে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্যারেজ থেকে ৬ টি অটো চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে গ্যারেজ মালিক আক্তারের অভিযোগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের
পুলিশ। পরে গ্যারেজ মালিক আক্তার ও নিহত নাইটগার্ডের পরিবার পুলিশের সমন্বয়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জু মেম্বার বিচারের কথা বলে নাইটগার্ডকে গ্যারেজে আটক করে রাখে। তিনদিন গ্যারেজে নির্যাতন চালানোর পর শনিবার রাত আড়াই টার দিকে নাইটগার্ডের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার কারণে নাইটগার্ড সিরাজুল ইসলামের মৃত্যু হয় বলে এলাকাবাসী ও নিহত পরিবারের অভিযোগ।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।