বন্দর প্রতিনিধিঃ- স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের এমপি মন্ত্রীদের দোসর ও মদদদাতা প্রফেসর শওকত আকবর স্কুলের সভাপতি হতে মরিয়া হয়ে উঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যিনি বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন মালিবাগ এলাকার হাজী আনোয়ার আলী প্রধানের পুত্র। এবং রৌশন আনোয়ার ফাউন্ডেশনের পরিচালক দাবীদার। যিনি গত আওয়ামিলীগ সরকারের শাসনামলে মন্ত্রী এমপিদের আত্মীয় পরিচয়ে এলাকায় দাপটের সহিত বিচরন করেছেন। কখনো সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল কখনো আড়াইহাজার উপজেলার এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর আত্বীয় পরিচয় দিয়ে এলাকার লোকজনকে জিম্মি করে রাখতেন প্রফেসর শওকত আকবর সহ তার পরিবার। সাথে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ সহ নেতাকর্মীদের বাড়িতে নিয়ে আপ্যায়ন করে ফটোশেসন করা। এসকল ফটোসেশান আর আত্মীয়তার পরিচয় দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকি ধামকি দিয়ে রাখতেন প্রফেসর শওকত আকবর। এমনকি মিথ্যা মামলার হামলা সহ অর্থ যোগানদাতা ছিলেন প্রফেসর শওকত আকবর ও তার পরিবারের লোকজন। এর পূর্বে আওয়ামিলীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতিও হয়েছেন। এমনকি আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত অনেকেই জানান, প্রফেসর শওকত আকবরের মদদপুষ্টে মিথ্যা মামলার ভয়ে আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারি নাই। এমনকি তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা সাবেক স্বরাষ্ট মন্ত্রী ও নজরুল ইসলাম বাবু এমপি নাকি তাদের আত্মীয়। তাদের সাথে ফটোশেসন করে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে প্রচার করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে বলতো আমরা আওয়ামিলীগের লোক।
৫ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র
আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেলে আওয়ামিলীগের ক্ষমতা চলে যায়। তারপর থেকেই প্রফেসর শওকত আকবরের ফেইসবুক থেকে সকল মন্ত্রী এমপিদের সাথে তোলা ছবি ডিলিট করে দেয়। এমনকি আবারো রাজনৈতিক খোলস পাল্টিয়ে মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পায়তারা করছে। অথচ তাদের অর্থায়নে বিএনপির অনেক নিরীহ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলা সহ নানারকম হয়রানির শিকার হয়েছে। প্রফেসর শওকত আকবর মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকাকালীন সময় শিক্ষকদের সাথে ক্ষমতার অপব্যবহার সহ নানান রকম অভিযোগ রয়েছে।
এমনকি শিক্ষকদের এক কাপ চা পান করলেও তাকে জবাবদিহি করতে হতো। কখনো আবার কারনে অকারনে শিক্ষকদের অপমান অপদস্ত করতো। তাই এখন আবার নতুন করে বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পায়তারা করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরন বলেন, তারেক জিয়ার নির্দেশ আওয়ামী দোসরদের কখনো বিএনপিতে ছাড় দেয়া হবেনা। এমনকি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দেয়া যাবেনা।
সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী এমপি দোসরদের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করা যাবেনা। তিনি আরো বলেন, প্রফেসর শওকত আকবর একজন আওয়ামীলীগ পন্থী। সুতরাং তাকে মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি করার কোন যোগ্য নেন।
মুছাপুর ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মন্জু বলেন, প্রফেসর শওকত গত দুই সময়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন কোন উন্নয়ন করতে পারেননি। সময়মতো বিদ্যালয়ে সময় দিতেন না। তাই এবার তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া চরম ভুল হবে।
তবে এবিষয়ে প্রফেসর শওকত আকবরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা। আর এই সকল ছবি বিয়ের অনুষ্ঠানে তোলা।